ঢাকা Sunday, 28 April 2024

বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 16:10, 19 March 2024

বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ

বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট খালিদ হোসেন।  

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ যোহর শহরের এসএম মডেল গভ. হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে গেটপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজা নামাজে ঈমামতি করেন জেলা কোর্ট মসজিদের ঈমাম মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। এসময় তার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সহস্রাধিক মানুষ জানাজায় অংশ নেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় এসময় ছিলেন না তার স্ত্রী শামীমা জামান এবং একমাত্র সন্তান ছেলে জুয়াইফা আরিফ। 

গায়কের ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি স্কুলে পড়াশোনা করছেন। সেই সূত্রে সেখানেই বসবাস। খালিদের স্ত্রীও থাকেন নিউইয়র্কে ছেলে আরিফের সঙ্গে।

জানাজা নামাজের আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোহসিন উদ্দিন এবং নিহত বড় ভাই মেজবা উদ্দিন হাসান এ গুণী শিল্পীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।  

এর আগে সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানাজা শেষে তার মরদেহ গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টায় খালিদ হোসেনের মরদেহ গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় এসে পৌঁছে।
সন্ধ্যায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জনপ্রিয় এই শিল্পী।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন খালিদ। তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কয়েক বছর ধরে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।  

১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। এসময় ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এর মত একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ।