ঢাকা Monday, 29 April 2024

ফেনীতে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে শিশু হত্যা

সারাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: 22:33, 6 February 2024

ফেনীতে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে শিশু হত্যা

ফেনীর পরশুরামে হাত-পায়ে টেপ পেঁচিয়ে এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ শিশুটির বাবার ভাড়া ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মা ও সৎমাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি এনজিও সংস্থার গাড়িচালক নুরুন নবী ১৩ বছর আগে একই এলাকার কোলাপাড়ার আয়েশা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) ও লামিয়া আক্তার (৮)। আয়েশা পারিবারিক কলহের কারণে নবীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন। পরে আরেকজনকে বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন তিনি।

এদিকে নবী দুই মেয়েকে নিয়ে ভোলার লালমোহনের এক ছেলের মা রেহেনা আক্তারকে বিয়ে করে সংসার করছেন চার বছর ধরে। প্রথম সংসারের দুই মেয়ে ও পরের স্ত্রী রেহেনার সাত বছরের ছেলে এবং রেহেনা-নবী দম্পতির মেয়ে নাবিলাকে নিয়ে চলছিল তাদের সংসার। 

নবী অভিযোগ করেন, আগের স্ত্রী আয়েশা দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিত। গত সোমবার আয়েশা তার খালাতো ভাই জাবেদের ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে পরশুরামে এসে নবীকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

মঙ্গলবার আয়েশার দুই মেয়ে ফাতেমা ও লামিয়াকে বাসায় একা রেখে নিজের দুই সন্তান নিয়ে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে বাইরে যান রেহেনা। দুপুরে মোটরসাইকেলে দুই যুবক এসে লামিয়াকে হত্যা করে চলে যায়। লামিয়ার হাত-পা টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।

ফেনী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহদাৎ হোসেন, সংশ্লিষ্ট থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালী উল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

এদিকে লামিয়ার বড় বোন ফাতেমা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালীকে জানিয়েছে, দুই ব্যক্তি একটি লাল মোটরসাইকেলে এসে গেট খুলে লামিয়াকে জাপটে ধরে। সে সময় ফাতেমা পালিয়ে যায়। পরে তারা চলে গেলে লামিয়ার দেহ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই দুজনকে সে তার মা আয়েশার সঙ্গে দেখেছে বলে জানায় ফাতেমা।