ঢাকা Thursday, 09 May 2024

বন্দি ইসরাইলি তরুণীর প্রেমে পড়লেন হামাস যোদ্ধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: 11:01, 27 April 2024

বন্দি ইসরাইলি তরুণীর প্রেমে পড়লেন হামাস যোদ্ধা

বন্দি এক ইসরাইলি তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক যোদ্ধা। ওই যোদ্ধা তাকে বিয়ের আংটিও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক সাক্ষাৎকার এমনটাই জানিয়েছেন ১৮ বছর বয়সী সেই তরুণী।

টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নোগা ওয়েইস নামের ওই তরুণী হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন। ৫০ দিন পর গত বছরের নভেম্বরে বন্দি বিনিময়ের সময় তিনি মুক্তি পান।

গত বৃহস্পতিবার চ্যানেল ১২ নামে এক ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে এই তরুণী জানান, এক হামাস যোদ্ধা তার প্রেমে পড়েন। এরপর তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন।


 
নোগা বলেন, ‘বন্দিত্বের ১৪তম দিন হামাস যোদ্ধা আমাকে একটি বিয়ের আংটি দেন। মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি তার সাথেই থাকতাম। তিনি আমাকে বলতেন, সবাইকেই মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু আপনি এখানে আমার সঙ্গে থাকবেন এবং আমার সন্তানদের লালন করবেন।’
 
গত বছরের ৭ অক্টোবর নোগার পাশাপাশি তার মা শিরিকেও বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। কিন্তু মা ও মেয়েকে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। নোগা জানান, কয়েকদিন পর তাদের একত্র করা হয়।
 
সাক্ষাৎকারে নোগা বলেন, ‘এক হামাস সদস্য বলেন- তিনি আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে বিয়ে করতে চান। আমার মাকে আমার কাছে আনা হবে। যাতে তিনি বিয়ের অনুমতি দেন।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘এরপর আরবদের পোশাকে এক নারীকে আমার কাছে আনা হয়। আমি চিনতে পারি তিনি আমার মা। আমি ভেবেছিলাম, তারা তাকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু না, তিনি বেঁচে আছেন। তকে হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাবে ওই তরুণী রাজি হননি। তিনি বলেন, তার প্রস্তাবে আমি হাসির ভান করেছিলাম। মেয়ের সাথে হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি মাও।’
 
এরপর গত ২৫ নভেম্বর ইসরাইলের সঙ্গে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বেশ কয়েকজন ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের সঙ্গে নোগা ও তার মা শিরিকেও মুক্তি দেয়া হয়। 

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা যখন ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায়, নোগা ওয়েইস তখন কিবুতজে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সেদিন তাঁর বাবা ইলান ওয়েইস কিবুতজের জরুরি দলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে জানা যায়, হামাস যোদ্ধারা তাঁকে হত্যা করেছিল এবং তাঁর লাশটি গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। 

নোগা জানান, সেদিন হামাস যোদ্ধারা তাদের বাড়ির দরজায় প্রায় ৪০টি গুলি ছোড়ে। পরে দরজাটি ভেদ করে যোদ্ধারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা নোগা ও তার মা অবশ্য ততক্ষণে জেনে গিয়েছিলেন শহরে কী ঘটছে! 

সূত্র: এনডিটিভি।