ঢাকা Tuesday, 30 April 2024

হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে : দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 20:20, 3 April 2024

হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে : দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবিতে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে বুয়েটের এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ছয় শিক্ষার্থী। তারা হলেন - কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটারিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ্য দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল ও বিষ্ণু দত্ত চাঁদ।

এদিকে, ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে ছয় দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতির পক্ষে সোচ্চার। 

বুধবার সংবাদ সম্মেলন আশিকুল আলম বলেন, আমাদের জীবন নিয়ে থ্রেট দেয়া হচ্ছে। আমরা আজ উপাচার্য স্যারের কাছে সবকিছুর প্রমাণ নিয়ে লিখিত আবেদন করেছি। আমরা ছাড়াও আরো যারা এটার ভুক্তভোগী নিরাপত্তার জন্য তাদের নামও আমরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি, যেন এটি বন্ধ করা হয়।

বুয়েট ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপকে যখন খুন করা হয় এর আগে তাকে নিয়েও এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিং করা হয়েছিল উল্লেখ করে আশিক বলেন, এরপরও যখন তিনি দমছিলেন না তারপর তাকে নৃশংসভাবে আমাদের বুয়েট প্রাঙ্গণে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় আমাদের বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহাম্মেদ ভাইয়াকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হচ্ছে। তাই আমরাও উদ্বিগ্ন।

বুয়েট শিক্ষার্থী আশিকুল আলম জানান, আন্দোলনের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুলিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের থ্রেট এবং বুলিং করা হচ্ছে, তা আমরা নিতে পারছি না। আমাদের মারার মতো হুমকি দেয়া হচ্ছে। যারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে তাদের নামসহ আমরা ভিসি স্যারের কাছে দেয়া লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছে। আমাদের পাবলিকলি এবং ব্যক্তিগতভাবেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমাদের পরিবারের কাছে ফোন যাচ্ছে - আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন, নয়তো পরে পাবেন না। এই কথাগুলোর মানে কি! এই সবকিছুই করা হচ্ছে কারণ আমরা হিযবুত তাহরীর এবং শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি। বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ গ্রুপে আমাদের ছবি পাঠানো হচ্ছে, যার স্ক্রিনশটসহ সব আলামত আমরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি। সেসব গ্রুপে আমাদের জীবনের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছিল তখন কোথাও হিযবুত তাহরীর, শিবির বা ছাত্রদলের নাম উল্লেখ ছিল না বলে দাবি করে তিনি আরো বলেন, শুধু ছিল ছাত্রলীগের ইমতিয়াজসহ আরো যারা সেখানে ছিল তাদের বহিষ্কার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন তারা শিবির বা হিযবুত তাহরীর নিয়ে কথা বলছে, এটা কিন্তু ভাবার বিষয়। আমরাই প্রথম শিবির এবং হিযবুত তাহরীরের পয়েন্ট এনেছি। তারা এখন আমাদের এই পয়েন্ট নিয়ে পুরো আন্দোলনকে ঘুরিয়ে দিতে চাচ্ছে। কয়েকদিন আগে কিছু শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়েছিল। কিন্তু এরও ছয় মাস আগে থেকে আমাদের মুজিব কর্নারের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ছেঁড়া অবস্থায় ছিল। সেটির দেয়ালের দিকে তাকানোও যাচ্ছে না। পরে আমরা সেই জায়গাটি সংস্কারের আবেদন করেছিলাম ডিএসডব্লিউ স্যারের কাছে। কিন্তু তিনিও আমাদের সেটি সংস্কারের অনুমতি দেয়ার সাহস করেননি।