ঢাকা Tuesday, 30 April 2024

বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশ ১৪১তম

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 18:30, 16 April 2024

বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশ ১৪১তম

বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম বলে জানা গেছে। বিশ্বের ১৬৪ দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের তথ্যানুসারে,  মৌলিক স্বাধীনতা জোরদারকরণ দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

এই প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সূচকে অন্তর্ভুক্ত আছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি উপাদান। 

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে  স্বীকার এবং মোকাবিলা করা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, অ্যাকাডেমিয়া এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 
আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে ও সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।

এছাড়া স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দুটি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির ধরন অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করে থাকে।

স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং  ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।

মূল উপস্থাপনায় লেমোনি বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়।

প্রসঙ্গত, সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারকে নির্দেশ করে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

তথ্যসূত্র : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।