ঢাকা Wednesday, 08 May 2024

পুলিশের সামনে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 17:40, 8 April 2024

পুলিশের সামনে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে পুলিশের সামনে সোহরাব খান (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের ছেলে জনি খান (৩৫)। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুলচার গ্রামের মৃত নুরু খানের ছেলে। 

এদিকে এ ঘটনার পর দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলমের সংশ্লিষ্টটার অভিযোগ তুলে তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করেন উত্তেজিত জনতা। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোহরাব খানের সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভোলা হালদার ওরফে ভোলা মেম্বারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার বেলা‌ সাড়ে ১১টার দিকে দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলম সোহরাব খান ও তার ছেলে জনি খানকে ডেকে আনেন। সোহরাব খান এবং জনি খান তদন্ত কেন্দ্রের সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শাহ আলমের সামনে তাকে ও তার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ইফতি ও রিহান গংরা।  পরে তাদের উদ্ধার করে টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব খানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় জনি খানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী সোহরাব খানের দোকানের কর্মচারী সেলিম সরকার বলেন, দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলম সোহরাব খানের মোবাইলে ফোন করে তাকে তদন্ত কেন্দ্রে আসতে বলেন। এ সময় আমি ও তার ছেলে জনি খান সঙ্গে আসি। সোহরাব খান তদন্ত কেন্দ্রের সামনে আসা মাত্রই তদন্ত কেন্দ্র হতে বের হয়ে ইফতি ও রিহানসহ ১০/১২ জন সোহরাব খান ও জনি খানকে কোপাতে থাকে। আমি তাদের রক্ষা করতে গেলে আমাকেও কোপাতে আসে।

নিহত সোহরাবের ভাই মিজান খান ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে সোহরাবকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলম। এ ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, নিহত সোহরাব খানের মাথায় ও বুকে গুরুতর ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত জনি খানের মাথায়, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে যদি কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে।