শেরপুরের শ্রীবরদীতে ২০০৯ সালে সেনাসদস্য বটন কান্তি বড়ুয়া হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৫ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাবুল মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।
এতে বলা হয়, জামালপুর ও ঢাকার উত্তরা র্যাবের যৌথ অভিযানে ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় উত্তরা পূর্ব থানার পলওয়েল সুপার মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. বাবুল মিয়া শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের আলী হোসেন ওরফে হোসেন আলীর ছেলে। চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা সেনাসদস্য বটন কান্তি বড়ুয়ার সঙ্গে ঢাকার মাটিকাটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সবজির ব্যবসায়িক সম্পর্কের মাধ্যমে তার পরিচয়। বটন কান্তির স্ত্রীর ছেলেসন্তান না হওয়ার কথা জানতে পেরে বাবুল তাকে এক কবিরাজের কথা জানান। পরে বাবুল মিয়া বটন কান্তিকে শেরপুরের শ্রীবরদী থানার ষাটকাকড়া গ্রামের মো. আকিমদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ওষুধের টাকাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত বিবাদের এক পর্যায়ে বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে উপরে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেয়া হয়।
এই ঘটনার চারদিন পর হাবিবুর কবিরাজের ঘর থেকে বটন কান্তি বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় তার পরিবারের সদস্য ছোটন বড়ুয়ার দায়েরকৃত মামলায় শেরপুরের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গত ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর বাবুল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
এদিক ওই মামলা হওয়ার পর ১৫ বছর ধরে বাবুল মিয়া মো. মোস্তফা কামাল ছদ্মনাম ধারণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি বিক্রি করে আসছিলেন।