ঢাকা Wednesday, 08 May 2024

মজুদবিরোধী অভিযান : ৩ গুদাম সিলগালা, পৌনে ৬ লাখ টাকা জরিমানা

সারাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: 22:54, 20 January 2024

মজুদবিরোধী অভিযান : ৩ গুদাম সিলগালা, পৌনে ৬ লাখ টাকা জরিমানা

ভ্রাম্যমাণ আদালত নওগাঁয় মজুদবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩টি গুদাম সিলগালা করা দিয়েছেন।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয় জেলার ১৩টি রাইসমিলে। 

নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নওগাঁ সদর উপজেলার আনন্দনগরে মেসার্স আর এম রাইস মিলের মালিক ও জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩টি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। মেসার্স তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলকে অবৈধভাবে চাল মজুদের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মেসার্স এমএম অটোরাইস মিলকে ৩ হাজার ১০০ মেট্রিক টন ধান মজুদের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শহরের হাজি মফিজ উদ্দিন অটোরাইস মিলে অনুমোদনবিহীন চাল মজুদের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্সকে অনুমোদনবিহীন চাল মজুদের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক রাইস মিলকে অনুমোদনবিহীন ধান ও চাল মজুদের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলার মান্দা উপজেলার সাবাইহাটে অবৈধ ধান মজুতের দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকায় ফয়জুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা এবং সুমন কুমার নামে আরো এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিলে ধান ১ মাসের বেশি সংরক্ষণের দায়ে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিলে চাল ১৫ দিনের বেশি সংরক্ষণের দায়ে ২০ হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিলে চাল ১৫ দিনের বেশি চাল সংরক্ষণের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এছাড়া পত্নীতলা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদের দায়ে তিনজন ধান ব্যাবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করেছেন নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম রবিন শিষ, মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আরজুমান্দ এবং এনডিসি ইফতেখার শামীম, মহাদেবপুর ও পত্নীতলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

তিনি আরো জানান, অবৈধভাবে মজুদকৃত এসব ধান ও চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবেন। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুদবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।