চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার সব অক্সিজেন উৎপাদনকারী কারখানায় শুক্রবার (১৭ মার্চ) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন মালিকরা। তবে চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদন এ ধর্মঘটের বাইরে থাকবে।
পুরনো জাহাজ ভাঙা শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) এক প্রতিবাদ সভা থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের মামলায় এর মালিক পারভেজ উদ্দিন শান্টুকে গ্রেফতারের পর কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে পাঠানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দিয়েছেন কারখানা মালিকরা।
বিএসবিআরএ’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মাস্টার আবুল কাশেম জানান, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক পারভেজ একজন শিল্পপতি এবং আমাদের সমিতির সদস্য। তার মালিকানাধীন প্ল্যান্টে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি তো আর চুরি-ডাকাতি করেননি যে তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নিতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সকল শিল্প মালিকের কোমরে দড়ি পরানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই ঘটনার প্রতিবাদেই চট্টগ্রামে সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও জাহাজ ভাঙা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে অক্সিজেন উৎপাদনকারী কারখানা আছে ১২টি এবং এর বেশিরভাগই সীতাকুণ্ডে। সেখানে উৎপাদিত অক্সিজেন জাহাজ ভাঙা কারখানা ও রড তৈরির প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ঘটা বিস্ফোরণে সাতজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হন। ওই বিস্ফোরণে নিহত আবদুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণহানির অভিযোগ এনে ৭ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় তিন মালিকসহ মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলাতে কোম্পানির পরিচালক পারভেজ উদ্দিন শান্টুকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে পাঠায় পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন বিচারক।
সেদিন হাতকড়া ও কোমরে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পারভেজকে আদালতে হাজির করার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তাতে শিল্প মালিকদের অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক অরুণ কান্তি বিশ্বাসকে পরে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়।