ঢাকা Monday, 29 April 2024

টাঙ্গাইলে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 19:00, 1 April 2024

টাঙ্গাইলে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় চাচা কাজী আলমকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা কাজী কামরুজ্জামান পলাশের বিরুদ্ধে।  

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামের কাজীপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

নিহত কাজী আলম কুরনী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাক্তন স্বাস্থ্য পরিদর্শক। অভিযুক্ত পলাশ ঢাকার আগারগাঁও এলজিইডিতে কর্মরত আছেন বলে তার মা কহিনুর বেগম জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই ভাই কাজী আলম ও কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ঝগড়া চলছিল। 

বিষয়টি কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের ছেলে কাজী কামরুজ্জামান পলাশ জানতে পেরে রোববার বিকেলে বাড়ি আসেন। পরে তিনি সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে চাচা কাজী আলমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

বিষয়টি জানতে পেরে ইফতারের আগ মুহূর্তে আশেপাশের বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।

ওইদিন রাতে কাজী আলম এশার নামাজ শেষে নাতি মারুফকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে এসে কবুতরের ঘর আটকাচ্ছিলেন। এ সময় পলাশ পেছন থেকে তার দিকে শুকনা মরিচের গুঁড়া মেশানো পানি ছুড়ে মারে। এতে কাজী আলম মরিচের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। তখন পলাশ তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

দাদা-নাতির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে কাজী আলমের শরীর ধুয়ে দেন এবং কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে নাতি মারুফ বলেন, দাদার সঙ্গে রাতে নামাজ শেষে বাড়ি আসি। দাদা কবুতরের ঘর আটকাতে গেলে পলাশ চাচা মরিচের গুঁড়া মেশানো পানি ছিটিয়ে লাঠি দিয়ে পেটান।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, এ বিষয়ে কেউ পুলিশকে অবহিত করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।