ঢাকা Friday, 26 April 2024

লেয়ার মুরগি পালনে সফল মামুন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 20:09, 22 September 2021

লেয়ার মুরগি পালনে সফল মামুন

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের কৃষক মামুনুর রশিদ। বন্ধুর পরামর্শ আর নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন লেয়ার জাতের মুরগির খামার। প্রথমে শখ করে করলেও এখন এটিই তার উপার্জনের পথ। তার খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার ডিম সংগ্রহ করা হয়। তার এ কর্মকাণ্ডের জন্য এখন তিনি নিজ এলাকায় সাফল্যের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন।

কৃষিকাজের পাশাপাশি বাড়তি লাভের আশায় বন্ধুর পরামর্শে বাড়ির পাশে লেয়ার জাতের মুরগির খামার করেছেন মামুনুর। এমন খামার করে এলাকার অনেকে হোঁচট খেলেও তিনি লাভবান হয়েছেন।

২০০৭ সালে প্রথমে ব্রয়লার মুরগির খামার করেন তিনি। পরে ২০১৭ সালে গাইবান্ধা জেলার এক বন্ধুর পরামর্শ নিয়ে ব্রয়লার ছেড়ে ৩০০ লেয়ার মুরগি দিয়ে নতুন করে খামার করেন। বাঁশকাঠির তৈরি খাঁচায় রাখা মুরগিগুলোকে দেখাশোনার জন্য এখন কাজ করছেন অনেকে।

মামুনুরের খামারে এখন মুরগির সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৬০০-র মতো। আবহাওয়া ভালো থাকলে একদিন বয়সের মুরগির বাচ্চা কিনে এনে খামারে ১৪ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত রাখা হয়। পরে বাজারে মাংসের জন্য বিক্রি করা হয়।

এছাড়া নিয়মিত ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে পাঁচ হাজার। এসব ডিম কিনতে জেলা-উপজেলা থেকে খামারে ছুটে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তার সফলতায় উদ্যোগী হচ্ছেন আশেপাশের অনেকেই।

খামারে সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় থাকা রনি জানান, লেয়ার মুরগি পালন অনেক লাভজনক। এই মুরগি পালন করেই মামুন চাচা (মামুনুর রশিদ) স্বাবলম্বী হয়েছেন।

খামারটিতে যারা কাজ করছেন তাদের প্রত্যাশা, যেন এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তারাও এমন খামার করতে পারেন। তাদের সবার চোখে আদর্শ মানুষ মামুনুর রশিদ।

এদিকে মামুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, নিজ উদ্যোগে খামার করলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মেলেনি পরামর্শ। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে আরো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘মাসে সকল খরচ বাদ দিয়ে ১ লাখ টাকার ওপরে লাভ থাকে। তবে লাভের পরিমাণ নির্ভর করে ডিমের বাজারের ওপর। যদি ডিমের বাজার ভালো থাকে তবে আরো বেশি লাভ হয়।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘করোনাকালে খামারি মামুনুর রশিদকে সহযোগিতা করা হয়েছে। উপজেলায় ১১৩টি ব্রয়লার ও ৫টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। আমরা সবগুলোর নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।’