ঢাকা Thursday, 02 May 2024

পুলিশের সাথে সংঘর্ষ: গয়েশ্বরসহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ৩ মামলা

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 18:50, 24 May 2023

পুলিশের সাথে সংঘর্ষ: গয়েশ্বরসহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ৩ মামলা

ফাইল ছবি

পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট ধানমন্ডি থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা রয়েছে ধানমন্ডি থানায়। অন্যটি হয়েছে নিউমার্কেট থানায়। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে করা তিনটি মামলারই বাদী পুলিশ। ধানমন্ডি থানায় করা দুটি মামলার মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অন্যটি বিস্ফোরক আইনে করা হয়েছে। এসময় মামলায় বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৫০০ জনেক অধিক আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) বিকেলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭ জনকে।

তিনি আরো জানান, দুটি মামলার একটির বাদী এসআই মঈদ খান। অন্যটির বাদী এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন।

অন্যদিকে নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির ৪৬ নেতাকর্মীরা নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিউমার্কেট থানার ওসি শফিকুল গণি সাবু জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে এসআই সবুজ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো চার থেকে পাঁচ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর হামলা গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা করেছে।

গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার মহানগরগুলোতে বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। এর অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে ল্যাব-এইড হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। বিআরটিসির একটি দোতলা বাস ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মধ্যে পুলিশ ধানমন্ডি থানা বিএনপির নেতা, গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম রবিসহ কয়েকজনকে আটক করে।

সংঘর্ষের জন্য বিএনপি পুলিশ পরস্পরকে দায়ী করে। বিএনপি বলেছে, কর্মসূচি শেষে দলীয় কর্মীরা ফেরার সময় পুলিশবিনা উসকানিতেতাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বিএনপি কর্মীরা হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালায়।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, ‘পুলিশের ওপর বিএনপির একদল নেতাকর্মী হঠাৎ হামলা চালায় এবং যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। ওদের এই হামলায় - জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ফলে আমাদেরকে অ্যাকশনে যেতে হয়।

এদিকে পদযাত্রা থেকে হামলা-ভাঙচুর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

রিমান্ড নিতে চাওয়া আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন সৈকত, মো. সাইফুল ইসলাম, রিপন হোসেন, মো. রুহুল, মো. আব্দুস সালাম, মো. সুজন, মো. নজরুল ইসলাম, শফিকুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির আহমেদ, আমিনুল ইসলাম শাহ আলম।