ঢাকা Saturday, 04 May 2024

হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি 

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 18:12, 21 April 2024

হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি 

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে ফের জামিনের আবেদন করেছেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদন জমা দেয়া হয়। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছর ৮ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন মিন্নি। আবেদনটি কার্যতালিকায় এলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রিফাত শরীফ হত্যামামলায় মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন - মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো. হাসান।

এই মামলায় খালাস দেয়া হয় মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুনকে।

নিয়ম অনুসারে ওই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।  

এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স অ্যাকাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। তখন গুরুতর আহত অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যামামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।

পরে ওই বছরের ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বাকি তিনজনকে খালাস দেন আদালত।