প্রেম মেনে না নিয়ে অন্যত্র জোর করে বিয়ে দেওয়ায় আত্মহত্যা করেছে রুবিনা আক্তার নামে এক যুবতী। এদিকে রুবিনার আত্মহত্যার খবরে বিষপান করে তার বাড়িতে হাজির হয়েছেন কথিত প্রেমিক রিংকু। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন রিংকুকে উদ্ধার করে প্রথমে বামন্দীর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
রুবিনা খাতুন গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের ব্রজপুর গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে। রিংকু একই উপজেলার দেবিপুর গ্রামের ফইমদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবিনা তার নানা বাড়ি দেবিপুর গ্রামে থেকে লেখাপড়া করতেন। রিংকুর কাছে প্রাইভেট পড়ার সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন ঈদুল আজহার আগের দিন রুবিনাকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নাটনাপাড়া গ্রামের সৈকত আলীর ছেলে সবুজের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেন। ঈদের পর দিন স্বামীসহ রুবিনা খাতুন মায়ের বাড়িতে অষ্টমঙ্গলে আসেন। বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় আজ সোমবার সকালে রুবিনা নিজ কক্ষের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ বিয়ে মানতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
তবে রুবিনার মা সুমাইয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ে ঠিক কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা আমাদের জানা নেই। তবে রিংকুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টিও আমরা কিছুই জানিনা।
খবর পেয়ে ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।