ছবি: স্টার সংবাদ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে লালদিঘী বাজারে তিন দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির সাথে জড়িত ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ (ছোট ট্রাক) উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৮ মে) বেলা সোয়া ১১টায় ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মঙ্গলবার (৭ মে) দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার ৭৮ ঘন্টার ব্যবধানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের চৌকিয়াপাড়া (সোনাপাড়া) গ্রামের মো. আইনুদ্দীন মন্ডল এর ছেলে মো. মোস্তাকিম ইসলাম (৩৫), বিরামপুর উপজেলার কলেজপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মো. বেলাল (৪৫), বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া থানার ছোট বেড়াগাও এলাকার আব্দুল মান্নান এর ছেলে মো. আব্দুর রহমান (৩৫), একই জেলার শিবগঞ্জ থানার মাসুমপুর চালুঞ্জা এলাকার মো. কোব্বাত আলীর ছেলে মো. হাসান (২৮)।
জানা যায়, গত ৫ মে ভোর রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের লালদিঘী বাজারে পিকআপ (ছোট ট্রাক) নিয়ে এসে নৈশ্য প্রহরীকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অত্যাধুনিক কাটার দিয়ে তালা কেটে তিনভাই ট্রেডার্স থেকে আড়াই লাখ টাকার কীটনাশক, সাগর ট্রেডার্স থেকে ৫ লাখ টাকার কীটনাশক ও নগদ ১০ হাজার টাকা, পল্লব টেলিকম থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পল্লব দাস বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (৭ মে) ফুলবাড়ী থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। যার মামলা নং (১০)।
ওসি মোস্তাফিজার রহমান আরো বলেন, মামলার সূত্র ধরে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশের বিশেষ দুইটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে ডাকাতির সাথে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ওই ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়, যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ন- ১২৫০৪৭।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার অভিযান ও ডাকাতির সাথে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। আটক মোস্তাকিম এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা, আব্দুর রহমান এর বিরুদ্ধে ৫টি এবং হাসান এর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে।