ঢাকা Saturday, 18 May 2024

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ যুবক কারাগারে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 20:22, 4 May 2024

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ যুবক কারাগারে

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৪) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মোবাইলে ভিডিও ধারণ এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আটক তিন যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

তারা হলো - লক্ষীপুর জেলার রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের লুধুয়া গ্রামের (আহসান উল্লাহ মিজি বাড়ীর) দিনমজুর ইমাম হোসেনের ছেলে সোহেল ওরফে মনা (২৬), জাকির হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন (১৯) ও একই গ্রামের (হাসিম মিজি বাড়ীর) ইব্রাহিমের ছেলে রবিন হোসেন (২২)। এদিকে এই ঘটনার মূল আসামি মুক্তার হোসেন এখনো পলাতক। 

শনিবার (৪ মে) দুপুর ১২টায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার পর জবানবন্দির জন্য লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে নেয়া হয়। 

শনিবার দুপুরে রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কেরোয়া ইউপির লুধুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) আরেফিন সিদ্দিকি জানান, মামলার বাদীর স্বামী প্রবাসে থাকেন। এই সুযোগে বাদীকে মানুষিকভাবে নির্যাতন করে আসছে একই বাড়ির দিনমজুর মুক্তার হোসেন। এ ঘটনায় কয়েকবার সালিশও হয়। কিন্তু মুক্তার তার অপকর্ম ছাড়তে পারেননি।

গত ১৪ এপ্রিল দুই কিশোরী মেয়েকে ঘরে রেখে তাদের মা ও মামলার বাদী তার চিকিৎসার জন্য এক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় হাসপাতালে যান। এই সুযোগে ১৫ এপ্রিল দুপুরে (রমজান মাস) বাদীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে বসতঘরে একা পেয়ে মুক্তারসহ চারজন ধর্ষণ করে। 

তিনি আরো বলেন, মেয়েটিকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে ফেলে রেখে যায় তারা। এরপর ওই কিশোরীর মায়ের কাছে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চার দুর্বৃত্ত। না দিলে হুমকি দিয়ে বলে, ঘটনাটি কাউকে জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দেয়া হবে। মুক্তারের মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিওটি ধারণ করা হয়।

পরে শুক্রবার রায়পুর থানায় কিশোরীর মা লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী ও কিশোরীর মা বলেন, আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর একই বাড়ির মুক্তার হোসেনের আমার ওপর কুনজর পড়ে। মানুষিক নির্যাতন করে। দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাই। এ সুযোগে মুক্তারসহ চারজন আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে নির্যাতন করে। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় মোক্তার। আমি এর কঠিন বিচার চাই।