ঢাকা Friday, 19 April 2024

তাইজুল একাই নিলেন ৭ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক 

প্রকাশিত: 21:32, 28 November 2021

আপডেট: 00:10, 29 November 2021

তাইজুল একাই নিলেন ৭ উইকেট

শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন উদ্বোধনী জুটিতেই ১৪৫ রান করেও বড় সংগ্রহ করতে পারেনি পাকিস্তান। তাইজুল ইসলামের ঘুর্ণিতে আজ ১৪১ রান যোগ করতেই ১০ উইকেট হারিয়েছে তারা। ফলে উল্টো ৪৪ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ১১৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তবে আবিদ আলি হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি, ফিফটি করেছেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। 

শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন পাক্কা দুই সেশন বোলিং করেও পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে তৃতীয় দিন অর্থাৎ রোববার দিনের প্রথম ওভারেই জোড়া সাফল্য তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরান অভিষিক্ত ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও আজহার আলিকে।

চার নম্বরে নেমে ডানহাতি ওপেনার আবিদ আলির সঙ্গে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার কাজটা বেশ ভালোভাবেই করছিলেন অধিনায়ক বাবর। দেখেশুনে খেলে ইনিংসের ৬৮তম ওভারে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও বেশিক্ষণ বাবরের সঙ্গ পায়নি আবিদ। পাকিস্তানের ইনিংসের ৭৩তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে বাংলাদেশের অফস্পিনার মিরাজের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি।

অধিনায়কের বিদায়ের পর ফাওয়াদও বেশি কিছু করতে পারেননি। তাইজুলের ঘূর্ণিতেই পুরোপুরি পরাস্ত হন ফাওয়াদ। বেশ লম্বা বাঁক খাওয়া ডেলিভারিটি ফাওয়াদের গ্লাভস ছুঁয়ে প্যাডে লেগে উইকেটের পেছনে গেলে দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় এক হাতে সেটি গ্লাভসবন্দী করেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস।

বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনের পরেও আউট দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। টিভি রিপ্লে দেখে ফাওয়াদকে কট বিহাইন্ড আউটের ঘোষণা দেন থার্ড আম্পায়ার। আউট হওয়ার আগে ফাওয়াদ করেছেন ১৫ বলে ৮ রান।

ফাওয়াদকে আউট করার পর ইনিংসের ৮০তম ওভারে আবিদের বিপক্ষে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাইজুল। তার হালকা বাঁক খাওয়া ডেলিভারি আবিদের ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে চলে যায় প্রথম স্লিপে। কিন্তু সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে ১১৩ রানে জীবন পেয়ে যান আবিদ।

দ্বিতীয় সেশনে ফিরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। সেশনের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে পাঠিয়ে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। বিদায়ঘণ্টা বাজে ৩৮ বলে ৫ রান করা পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটারের।

পরে আবিদকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ দলে স্বস্তি আনলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় সেশনে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে চতুর্থ বলেই আবিদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩৩ রান করেন আবিদ। 

আবিদকে আউট করার পর হাসান আলিকেও সাজঘরে পাঠান তাইজুল। তার করা ৯৬তম ওভারের প্রথম দুই বলে যথাক্রমে চার ও ছক্কা মারেন হাসান। একই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় বলেও বাউন্ডারির আশায় এগিয়ে মারতে যান তিনি। কিন্তু মিস করেন সেই টার্ন ও বাউন্স করা ডেলিভারি।


২৪০ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর শেষ দুই উইকেটে মূল্যবান ৪৬ রান পেয়ে যায় পাকিস্তান। দলীয় ২৫৭ রানের মাথায় নৌমান আলিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন নৌমান। মনে হচ্ছিল, একইসঙ্গে ব্যাট ও প্যাডে লেগেছে বল। কিন্তু পরিষ্কার প্রমাণ না থাকায় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি থার্ড আম্পায়ার।

এরপর দশম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডোবান শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। দুজন মিলে গড়েন ২৯ রানের জুটি। শেষপর্যন্ত নাটকীয় এক ক্যাচে ফাহিমের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান লিটন। লেগস্ট্যাম্পের বাইরের বলে সুইপ করেছিলেন ফাহিম।

বল হাতে ১১৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। যা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। এছাড়া এবাদত দুইটি ও মিরাজ নিয়েছেন এক উইকেট।