ঢাকা Saturday, 20 April 2024

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 16:43, 8 July 2022

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুক’ অর্থাৎ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ এই আত্মনিবেদনমূলক ধ্বনিতে আজ মুখরিত আরাফাতের ময়দান।  

আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) পবিত্র জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। জিলহজের মাসের এই দিনটিতে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে একটি হলো আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। তাই দিনটিকে হজের দিনও বলা হয়ে থাকে। 

আজ সারাবিশ্ব থেকে ১০ লাখ মুসলমান ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে সমবেত হচ্ছেন। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন হলো পুরো ইসলামী বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজের এই (প্রথম) দশদিনের চেয়ে মহান এবং আল্লাহর কাছে প্রিয় আর কোনো দিন নেই।’

৯ জিলহজ হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। এখানে তারা জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন এবং সারাদিন দোয়া করে কাটাবেন। তারা কিবলামুখী হয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। এদিন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি মানুষকে ক্ষমা করেন। এ বছর আরাফাতের মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। হজযাত্রীরা সূর্যাস্তের সময় আরাফাত থেকে রওনা হবেন এবং মুজদালিফায় যাত্রা করবেন। সেখানে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। 

করোনা মহামারিজনিত বিধিনিষেধের কারণে গত দুই বছর সংখ্যা হ্রাসের পরে এবার বিদেশ থেকে সাড়ে আট লাখসহ মোট ১০ লাখ পূর্ণ ডোজ টিকাপ্রাপ্ত মুসলমান নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

বুধবার (৬ জুন) লাখ লাখ মুসলমান ইসলামের পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ কাবা শরিফ প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করেন। বৃহস্পতিবার হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে মূল অনুষ্ঠানের আগে গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মিনায় অবস্থান করেন।

হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসপাতাল এবং ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়া মিনায় হজযাত্রীদের চিকিৎসার জন্য চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য এক হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে এবং বিশেষ করে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০০টিরও বেশি শয্যা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৫ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কেউ অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

২০১৯ সালে সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান হজে অংশ নিয়েছিলেন।