ঢাকা Friday, 29 March 2024

দেশে খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সম্ভব নয় : মির্জা ফখরুল

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 20:46, 13 October 2021

দেশে খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সম্ভব নয় : মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা দেশে করা সম্ভব নয়, তাই তাকে বিদেশে নিতে হবে বলে চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১৩ অক্টোবর) তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কয়েক দিন ধরে জ্বর আসছিল, তার কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়েছে। তার নানাবিধ শারীরিক জটিলতা রয়েছে। যেগুলোর চিকিৎসা একসঙ্গে বাংলাদেশে করা যাবে না।
 
চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন - তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশ নিতে হবে। এদেশে খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সম্ভব নয়। মাল্টি চিকিৎসা এখানে নেই। দেশের বাইরে নিতে হবে। 

এ সময় ফখরুল প্রশ্ন তোলেন, সরকার কেন খালেদা জিয়াকে তার ন্যায্য জামিন দিচ্ছেন না? তিনি বিএনপি নেত্রীর জামিনেরও দাবি জানান।

খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে ও রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে সরকার হটাতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এখান (এভারকেয়ার হাসপাতাল) তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দেখভাল করছেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।

নিজের গাড়িতে চড়ে খালেদা জিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর পর গাড়ি থেকে হুইলচেয়ারে করে তাকে নির্দিষ্ট কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা তার সঙ্গে কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে বাসায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে চলে যান।
 
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়। করোনার মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থানের সময় গত এপ্রিলে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন।

কোভিড-পরবর্তী জটিলতায় ২৭ এপ্রিল খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। প্রায় দুই মাস সিসিইউতে ছিলেন তিনি। পরে ১৯ জুন মেডিক্যাল বোর্ড বাসায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দেয়।