ঢাকা Saturday, 20 April 2024

জঙ্গি ছিনতাই মামলা: আত্মসমর্পণের পর রিমান্ডে ইদি

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 01:35, 28 November 2022

জঙ্গি ছিনতাই মামলা: আত্মসমর্পণের পর রিমান্ডে ইদি

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকার আদালতপাড়া থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলার পলাতক এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার নাম ইদি আমিন। এরপর পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আশ্রাব আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার ইদি আমিন জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলার আসামি। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় জামিন পেয়ে ইদি ও মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে বসেই জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা সফল করার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ২০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন ওরফে দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা।

ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সেই রাতেই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জুলহাস উদ্দিন আকন্দ একটি মামলা করেন। মামলায় ছিনতাই হওয়া দুই আসামিসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানায় করার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলার শুনানি শেষে কারাগারে থাকা ১২ জন আসামিকে হাজতখানায় নেয়ার পথে দুজনকে ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। মামলায় ওই ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় জামিনপ্রাপ্ত দুজনকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, পলাতক আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলাটিতে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ইদি আমিনের নামও আছে। এছাড়া, মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শাহিন আলম, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন বিএম মুজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারি, খাইরুল ইসলাম জামিল, মইনুল হাসান শামীম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে যায়েদ, আব্দুস সবুর, রশিদ উন নবী ভুইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল, মেহেদী হাসান অমি, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান ওরফে মেজর জিয়া ওরফে বড় ভাই, আয়মান, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, তানভীর ওরফে শামসেদ মিয়া, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ও ওমর ফারুক ওরফে নোমান।

মামলায় বলা হয়েছে, প্রথম ১২ জন আসামিকে কারাগার থেকে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকে দুর্ধর্ষ জঙ্গি মেজর জিয়া ও অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে দুই আসামি ছিনিয়ে নেয়। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামি ঈদী আমিন ও মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে বসেই এই পরিকল্পনা সফল করার প্রস্তুতি নেয়। ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিয়ে তারা আগে আগে বের হয়ে আসে এবং অন্যান্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হামলার পরিকল্পনা সফল করার দায়িত্ব পালন করে।

ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলার তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।