ঢাকা Friday, 19 April 2024

হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়, দাঙ্গায় লিপ্ত হয় না : হিমন্ত

আন্তর্জতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: 17:15, 2 December 2022

আপডেট: 17:15, 2 December 2022

হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়, দাঙ্গায় লিপ্ত হয় না : হিমন্ত

ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা দাঙ্গায় লিপ্ত হয় না। হিন্দু সম্প্রদায় কখনো দাঙ্গায় লিপ্ত হবে না।’ 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

কংগ্রেস থেকে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দেয়া হিমন্তের কাছে তার দলের নেতাদের দেয়া বিভিন্ন বিতর্কিত  বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলে কথা প্রসঙ্গে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন। 

দিল্লিতে সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়াকার নামে এক নারীকে হত্যার পর কেটে ৩৫ টুকরো করার অভিযোগে তার প্রেমিক আফতাব পুনেওয়ালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ইস্যুতে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে এনডিটিভিকে হিমন্ত শর্মা বলেন, ‘যেকোনো বামপন্থী মানুষের কাছে এটি সাম্প্রদায়িক বক্তব্য। তবে আমি জাতীয় অনুভূতি থেকে এমনটা বলেছি।’

মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’ বা ভালোবাসার জিহাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছিলেন হিমন্ত শর্মা। মুসলমান পুরুষ হিন্দু নারীদের বিয়ে করে তাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এটি ‘লাভ জিহাদ’ নামে পরিচিত।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হিমন্ত শর্মা বলেন, ‘এটা নারীদের নিরাপত্তার বিষয়। লাভ জিহাদের প্রমাণ রয়েছে। শ্রদ্ধা ওয়ালকারের হত্যাকারী আফতাব পুনেওয়ালা বলেছিলেন তিনি মনে করেন তার কাজ তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এর প্রমাণ আছে।’

২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গা নিয়ে অমিত শাহের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হিমন্ত শর্মা বলেন, ‘২০০২ সালের পর গুজরাট সরকার রাজ্যে শান্তির জন্য অনেকগুলো ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। গুজরাটে শান্তি ফিরে এসেছে। গুজরাটে এখন কোনো কারফিউ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘গুজরাট সরকার যা করেছে, সেজন্য ২০০২ সাল থেকে রাজ্যে শান্তি বজায় রয়েছে। দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত করতে পারি আসামেও শান্তি রয়েছে।’

এসময় হিমন্ত বলেন, ‘হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা দাঙ্গায় লিপ্ত হয় না। হিন্দু সম্প্রদায় কখনো দাঙ্গায়  লিপ্ত হবে না।’

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গা চলাকালে তিনদিনে এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করা হয়। নিহত মানুষের মধ্যে ৮০০ জনের বেশি ছিল মুসলমান। গোধরায় হিন্দু পুণ্যার্থীরা ট্রেনের একটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাতে ৫৯ জন নিহত হন। এরপর দাঙ্গা শুরু হয়।