
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মোকাবিলা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার ফসল। সে সময় তিনি টাকার চিন্তা না করে দেশের মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) কর্তৃক করোনা মোকাবিলায় সফলতার জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১০০ বছরের ইতিহাসে কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন, ভ্যাকসিন সংগ্রহ, বিতরণ ও প্রয়োগে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেক্টরের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান।
এ সময় করোনায় অবদান রাখায় বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ও ১০ জন ব্যক্তিকে ‘কোভিড হিরো’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিশ্বের রোল মডেল হওয়াটা কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে হয়নি। এই মোকাবিলা হয়েছে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় সাফল্য লাভ গোটা জাতির জন্যই একটি বিশেষ অর্জন ও সফলতা। এই সফলতায় সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা ও কর্ম পরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সার্বিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে এই মহামারিতে সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা কেবল তার নির্দেশনা মেনে কাজগুলো করে গেছি। আমরা স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন যা কিছু চেয়েছি তিনি আমাদের সেগুলো দিতে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেননি।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা আজ বিশ্বে পঞ্চম স্থান পেয়েছি, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এই কৃতিত্ব আমাদের প্রধানমন্ত্রীর। তার নির্দেশনা অনুযায়ী ঠিকভাবে কাজ করায় আমরা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছি। আজ আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দেয়া হলো এটি আমি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) গোটা চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে গ্রহণ করে সম্মানিত বোধ করছি। এর মাধ্যমে গোটা চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যখাতকে যেভাবে সম্মান দেয়া হলো সেজন্য আমি বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
করোনার সময়ে দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যখাত একযোগে নির্দেশনা মেনে কাজ করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সে সময় দেশের প্রাইভেট মেডিক্যাল হাসপাতালগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা প্রাইভেট খাতকে বলেছিলাম করোনার জন্য হাসপতাল ডেডিকেটেড করতে, তারা সেটি মেনে নিয়েছে। তাদের যখন যা বলেছি তারা তাই করেছে। এসব কারণে করোনা মোকাবিলায় আমাদের কাজগুলো আরো সহজ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি এম এম মুবিন খানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যলয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।