তামিল অভিনেতা ধানুস এবং পরিচালক ঐশ্বর্যা গত ১৭ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন। ঐশ্বর্যা তামিল সুপারস্টার রজনীকান্তের কন্যা। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘থালাইভা’ (রজনীকান্ত) নাকি তার জামাইয়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজি হননি ধানুস।
সোমবার রাতে ধানুস এবং ঐশ্বর্যা লিখেছেন, ১৮ বছর একসঙ্গে থাকা। বন্ধু, দম্পতি এবং অভিভাবক হিসেবে। একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। এই যাত্রা কেবলই একে অপরের সঙ্গ দেয়ার, বোঝার, বেড়ে ওঠার। একে অপরের জন্য নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট বদল ঘটানো এবং তারই সঙ্গে মিলেমিশে যাওয়ার দিন ছিল। আজ এই মুহূর্তে আমরা দুজনে এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দম্পতি হিসেবে আলাদা পথে হাঁটব। স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের চেনার জন্য সময় নেব।
সংবাদমাধ্যমের খবর, ধানুস এবং ঐশ্বর্যা নাকি আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন না। তারা আইনের চোখে দম্পতিই থাকতে চান। এক ছাদের তলায় না থেকেও নিজেদের সন্তান যাত্রা রাজা (১৬) এবং লিঙ্গা রাজার (১২) অভিভাবকত্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই দম্পতি।
এরই মাঝে আচমকা ধানুসের বাবা তামিল পরিচালক কস্তুরী রাজা জানিয়েছেন, ধানুস এবং ঐশ্বর্যার নাকি বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে না। দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বেধেছে কেবল।
জানা গেছে, রজনীকান্ত তার জামাই ধানুসের সঙ্গে দেখা করে বিবাদ মেটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধানুস শ্বশুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গিয়েছেন বারবার। তার কারণ তিনি রজনীকান্তকে অপমান করতে চান না।