করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এর মধ্যেই চলবে শিক্ষা কার্যক্রম এবং তা হবে অনলাইনে। এছাড়া শিক্ষার্থী না এলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যালয় খোলা রাখা হবে। সেখানে শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানের তত্ত্বাবধানে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) এসব বিষয় নিয়ে মোট ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণাসহ ৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১১ দফার মধ্যে আরো রয়েছে - স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময় শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি ও গ্যাস সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে, তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেগুলো খোলা থাকবে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীন সব দফতর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।