ঢাকা Saturday, 20 April 2024

৩৩ বিলিয়ন ডলারে নামল রিজার্ভ 

স্টার সংবাদ

প্রকাশিত: 03:16, 1 December 2022

৩৩ বিলিয়ন ডলারে নামল রিজার্ভ 

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (ডলার) বা রিজার্ভ আরো কমেছে। চলতি মাসের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন। বুধবার (৩০ নভেম্বর) এই রিজার্ভ থেকে ৭১ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারে। এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

প্রসঙ্গত, চলমান ডলার সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব-পদ্ধতি অনুসারে, দেশের রিজার্ভ থেকে আরো ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ হবে ২৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে দেশে রেমিট্যান্স আসার গতিও শ্লথ। চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর দেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। ৭ নভেম্বর তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। ওইদিনই রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়। ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২৮ বিলিয়নে। 

গত ৯ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন। ১৪ নভেম্বর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে। এরপর ১৫ নভেম্বর রিজার্ভ থেকে ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় তা নেমে আসে ৩৪ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। ১৬ নভেম্বর ৬৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। ১৭ নভেম্বর আবারো বেড়ে হয় ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। 

এরপর ২১ নভেম্বর রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। ২২ নভেম্বর ৩৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে। সবশেষ ২৩ নভেম্বর রিজার্ভ আরো কমে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারে। এরপর বুধবার (৩০ নভেম্বর) সরকারি ক্রয় বাবদ ৭৭ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আরো কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারে।

এদিকে আইএমএফ বলে আসছে, রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে আলাদাভাবে বিভিন্ন তহবিল গঠন ও সেখান থেকে ঋণ দেয়া হচ্ছে। আবার সেসব অর্থ রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বেশি দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের, যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন এবং শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ২০ কোটি ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। তাছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে। 

আইএমএফের মতে, সবমিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখানো হচ্ছে, সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সে হিসাবে এখন দেশে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার।