ঢাকা Saturday, 20 April 2024

‘কাইজ্যা পার্টি’র দুই সদস্য গ্রেফতার 

সারাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: 01:35, 25 February 2023

‘কাইজ্যা পার্টি’র দুই সদস্য গ্রেফতার 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রিকশা যাত্রীদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া বাধিয়ে দিয়ে সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত যাত্রীর মালামাল নিয়ে চম্পট দিত একটি চক্র। ‘কাইজ্যা পার্টি’ নামে পরিচিত এই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত এই দুজন হলেন - সাইদুর রহমান হাওলাদার এবং মো. মোর্শেদ। 

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তারা রিকশা নিয়ে ঘোরেন এবং বিভিন্ন ছলে অন্য রিকশার যাত্রীর সঙ্গে ইচ্ছা করে ঝগড়া বাধান। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে যাত্রীর মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ আরো জানায়, সাইদুর এই গ্রুপের প্রধান। তাদের কাছ থেকে লুট করা প্রায় ৪ লাখ টাকার মেডিক্যাল মেশিন এবং ২ লাখ টাকার কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১০ থেকে ভিকটিম মহিউদ্দিন দুটি মেডিক্যাল যন্ত্রাংশ নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় রিকশা নিয়ে হাজির হন সাইদুর। শেওড়াপাড়া আসার জন্য রিকশায় উঠে কিছুদূর যাওয়ার পর রিকশা নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে কিছুদূর হাঁটতে বলেন মহিউদ্দিনকে। 
কিছুদূর যেতেই সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা দু-তিনজন ইচ্ছাকৃতভাবে তার সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেন। এই সুযোগে মালামালসহ রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান সাইদুর। পরে থানায় অভিযোগ করলে গতকাল রাতে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুসারে কেরানীগঞ্জের শহীদনগর এলাকা থেকে মেডিক্যাল যন্ত্রাংশ এবং কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। 

ওসি মহসীন বলেন, অভিযুক্তদের গ্রুপে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সাত থেকে আটজন সদস্য আছেন। তারা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে এই কাজ করেন। তাদের মধ্যে একদল থাকেন ‘হাঁটাওয়ালা’। তারা টার্গেট যাত্রীর সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া বাধান। একজন ‘মাদলিওয়ালা’। তিনি রিকশা চালান, রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। সাইদুর এই দলের ‘মাদলিওয়ালা’। আরেক দল ‘পল্টিওয়ালা’। যখন ওই যাত্রী ওই রিকশা খুঁজতে থাকেন তখন এই দল উল্টো রাস্তা দেখিয়ে দেন। মালামাল হাতিয়ে নেয়ার পর সেটা বিক্রি করে পাওয়া টাকার ৭০ শতাংশ সবাই সমানভাবে ভাগ করে নেন। বাকি ২০ শতাংশ (অতিরিক্ত) পান ‘মাদলিওয়ালা’ এবং ১০ শতাংশ পান ‘হাঁটাওয়ালা’। তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে এই প্রতারণা করতেন।