ঢাকা Friday, 19 April 2024

ভূমি দখল, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধে জড়িত কবির : র‌্যাব

সারাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: 21:44, 20 May 2022

ভূমি দখল, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধে জড়িত কবির : র‌্যাব

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ কনস্টেবলের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার মূল আসামি কবির আহমদ ভূমি দখল, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধে জড়িত বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। এখন আরো তিনটি মামলা হবে কবিরের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা জানান। চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় র‌্যাব-৭-এর ক্যাম্পে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, কবিরের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তিনি চড়াও হতেন তার ওপর।

র‌্যাব জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবিরকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আরো গ্রেফতার হন কবিরের সহযোগী কফিল উদ্দিন। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, পুলিশ কনস্টেবলের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার পর কবির বান্দরবানের দক্ষিণ হাঙর এলাকায় গা ঢাকা দেন। তার আত্মগোপনের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেনে গেছে বলে তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন। পরে কবির সেখান থেকে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চলে যান। গতকাল রাতে র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৭ কবিরকে ধরতে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযান শুরু হয়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কবির গুলি ছোড়েন। তার গুলিতে র‍্যাবের সিপাহি মো. আকরাম আহত হন। পরে র‍্যাবও গুলি চালায়। এতে কবিরের পায়ে গুলি লাগে। অভিযান শেষ হয় রাত ১০টায়।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবিরকে ধরা হয়। তার সহযোগী কফিলও ধরা পড়েছেন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহৃত দা-ও উদ্ধার করা হয়। পরে কবিরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, কবিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করতেন তিনি।

কবিরের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা, মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে। তার সহযোগী কফিলের বিরুদ্ধে ছয়টির বেশি মামলা রয়েছে। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। কবির ও কফিলের বিরুদ্ধে নতুন মামলা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

জানা যায়, লোহাগাড়ার পদুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন গত ২৪ মার্চ মারামারির অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় পদুয়ার লালারখিল এলাকার আলী হোসেনের ছেলে কবিরকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।

গত রোববার সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়া থানার এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কবিরকে গ্রেফতারের জন্য লালারখিল এলাকার বাড়িতে অভিযানে যায়। এ সময় কবির গ্রেফতার এড়াতে দা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। 

দায়ের কোপে কনস্টেবল মো. জনি খানের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কবিরকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লোহাগাড়া থানার এএসআই মুজিবুর রহমান। এ মামলার আসামি কবিরের স্ত্রী রুবি আক্তারকে ইতিমধ্যে বান্দরবানের লামা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।