ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ধর্ষক রিপন মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর ভাবি বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ধর্ষক রিপন মিয়াকে আসামি করে কসবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামল করেছেন।
অভিযুক্ত রিপন মিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের মৃত চারু মিয়ার ছেলে।
মামলার বাদী জানান, বাড়ির সামনে তাদের একটি মুদিদোকান আছে। জয়পুর গ্রামের অটোরিকশাচালক রিপন মিয়া মুদি মালামাল কেনাকাটার জন্য দোকানে আসা-যাওয়া করতেন। এই সুযোগে বাদিনীর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ননদের সঙ্গে রিপনের পরিচয়। সেই সুবাদে রিপন তাকে প্রায়ই খাবার কিনে দিত।
তিনি আরো জানান, ননদের সরলতাকে পুঁজি করে রিপন গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে অটোরিকশা গ্যারেজে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর বিষয়টি ভাবিকে জানায় ওই কিশোরী। ভাবি ধর্ষক রিপনকে হাতেনাতে ধরতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে অটোরিকশা গ্যারেজের সামনে যান। সেখানে রিপনের অটোরিকশাটি দেখতে পেয়ে একপর্যায়ে গ্যারেজের ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ননদকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধর্ষণ করছেন রিপন। ঘটনা দেখে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
এ সময় রিপন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন রিপনকে ধাওয়া করে আটকে গণপিটুনি দিয়ে ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ভিকটিমকেও উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
গণপিটুনিতে আহত ধর্ষক রিপন মিয়াকে পুলিশ পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আবদুল বাছেত সরকার জানান, মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
