ঢাকা Thursday, 18 April 2024

কুষ্টিয়া টেন্ডারবাজিতে হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 23:56, 29 November 2022

কুষ্টিয়া টেন্ডারবাজিতে হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জের ধরে লিটন বিশ্বাস (৩০) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলার ২১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন - কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাক মাষ্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে বাড়ি থেকে বের হন লিটন। সেদিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। নিখোঁজের পরদিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে লিটনের দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। 

আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বিরোধের জেরে লিটনকে হত্যা করে। ওইদিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় হত্যামামলা করেন। 

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের  ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ ও যাচাই শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। 

পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, লিটনকে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা সবাই পলাতক। এ মামলার বাকি ২১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।