ধর্ষক নুরুল ইসলাম ও আরিফ
বরগুনায় বাবা ও ছেলের ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা সোমবার (৩ জানুয়ারি) মামলা করেছেন। পুলিশ ধর্ষক বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ওসি একেএম তারিকুল ইসলাম জানান, ১৫ বছরের মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন - বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফ।
জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাবা নেই। তার মা বাজারে সবজি বিক্রি করে সংসার চালান। তিনি যখন কাজে যেতেন তখন মেয়ে বাড়িতে একা থাকত। ধর্ষক নুরুল ইসলামের মেয়ে এবং ওই কিশোরী বান্ধবী। এ কারণে মেয়েটি প্রায়ই নুরুল ইসলামের বাসায় যেত।
কিশোরী জানায়, নুরুল ইসলামকে সে ‘খালু’ বলে ডাকত। ওই বাসায় গেলে তাকে মাঝে মাঝে ভালো খাবার দিতেন নুরুল ইসলাম। একপর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি। এভাবে কয়েক মাস ধরে এই কাজ চালাচ্ছিলেন নুরুল ইসলাম।
এদিকে নুরুলের ছেলে আরিফ একদিন এসে কিশোরীকে বলে, তাদের সম্পর্কের কথা সবাইবে বলে দেবে। এই ভয় দেখিয়ে সেও ওই কিশোরীকে দুদিন ধর্ষণ করে।
ওসি বলেন, মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। রোববার (২ জানুয়ারি) এ বিষয়ে মেয়েটির পরিবার জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুরুল ইসলামকে এবং আধঘণ্টা পর তার ছেলে আরিফকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।