ঢাকা Friday, 29 March 2024

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, শাবিপ্রবি উপাচার্য উদ্ধার

সারাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: 00:42, 17 January 2022

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, শাবিপ্রবি উপাচার্য উদ্ধার

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তারা আইআইসিটি ভবন থেকে তালা ভেঙে উপাচার্যকে উদ্ধার করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হন।
 
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি শিক্ষা ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ।
 
দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, সকল বিভাগের প্রধান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনার পরিচালক এবং প্রক্টর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা ছাত্রীদের দাবি মেনে নেন এবং সাতদিনের সময় চান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা না মানায় শিক্ষকরা ওই স্থান ত্যাগ করেন। পরে আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের পেছন পেছন স্লোগান দিয়ে চেতনা ৭১-এর সামনে থেকে উপাচার্য ভবনের দিকে এগিয়ে আসেন।
 
এ সময় উপাচার্য কার্যালয় থেকে নামলে তারা উপাচার্যের পথরোধ করে হামলা চালান। এসময় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের হাত থেকে উপাচার্যকে বাঁচিয়ে আইআইসিটি ভবনে নিয়ে যান। পরে আন্দোলনকারীরা ওই ভবনের সদর দরজা তালাবদ্ধ করে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। 
 
রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিসহ তিন দফা দাবি আদায় এবং ছাত্রীদের চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
 
পরে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন - হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে সাতদিন সময় চান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি না মানার প্রেক্ষিতে তারা বর্ধিত সময় দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। সে সময় শিক্ষার্থীরা তাদের সামনে ‘ধিক্কার ধিক্কার, প্রশাসন ধিক্কার’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
 
এরপর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের পিছু নেন এবং অর্জুন তলা থেকে ফিরে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গেলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনকে সামনে পান। তখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পিছু নিয়ে ধিক্কার ধিক্কার স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় উপাচার্যকে নিয়ে উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনে ঢুকলে শিক্ষার্থীরা সেখানে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন।