বাংলাদেশের সুস্বাদু আম ও আলুসহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরাক। বুধবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় ইরাকের রাষ্ট্রদূত আব্দুল সালাম সাদ্দাম মোহিসেন।
বৈঠকশেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, একসময়কার সেক্যুলার আরব রাষ্ট্র ইরাক বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম স্বীকৃতিদানকারী। মাঝে যুদ্ধবিগ্রহের কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলেও এখন আবার ভালো হচ্ছে। এখন তেল রফতানি করে তারা মাসে আট বিলিয়ন ডলার আয় করে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোর দিকে।
বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি-ফলমূল আমদানিতে ইরাকের আগ্রহের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমের মৌসুমে আম নিতে তারা বেশি আগ্রহী। তারা আলুও আমদানি করতে চাইছে। এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, রফতানি করার মতো পর্যাপ্ত আলু বাংলাদেশ এখন উৎপাদন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সবজি রফতানি প্রক্রিয়া শুরু করতে অতি দ্রুত দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
এদিকে ঢাকার পূর্বাচলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অ্যাক্রিডিটেশন কৃষিল্যাব স্থাপনে সহায়তা দেয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি সংস্থা ইউএসডিএ।
বুধবার ইউএসডিএ প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক হয়। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বৈদেশিক কৃষি সার্ভিস অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিস প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
ওই বৈঠক শেষে আবদুর রাজ্জাক বলেন, পূর্বাচলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুই একর জমি রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃত একটি কৃষি ল্যাব স্থাপন করা হবে। ইউএসডিএ সেখানে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আম ও লিচুর মতো পচনশীল ফলমূল উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে তারাও সহযোগিতামূলক কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী মৌসুমে লিচু পরিবহনে তারা ফ্রিজিংভ্যান দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করবে।